Posts

Showing posts from February, 2017

ও আমার দেশের মাটি (o amar desher mati- Robindra Sangit)

ও আমার দেশের মাটি, তোমার ‘পরে ঠেকাই মাথা। তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা ॥ তুমি মিশেছ মোর দেহের সনে, তুমি মিলেছ মোর প্রাণে মনে, তোমার ওই শ্যামলবরন কোমল মূর্তি মর্মে গাঁথা ॥ ওগো মা, তোমার কোলে জনম আমার, মরণ তোমার বুকে। তোমার ‘পরে খেলা আমার দুঃখে সুখে। তুমি অন্ন মুখে তুলে দিলে, তুমি শীতল জলে জুড়াইলে, তুমি যে সকল-সহা সকল-বহা মাতার মাতা ॥ ও মা, অনেক তোমার খেয়েছি গো, অনেক নিয়েছি মা– তবু জানি নে-যে কী বা তোমায় দিয়েছি মা! আমার জনম গেল বৃথা কাজে, আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে– তুমি বৃথা আমায় শক্তি দিলে শক্তিদাতা ॥

যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে (Je prem shorgo theke ese by Khalid Hasan Milu)

যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয়।।  যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয়।। সেই প্রেম আমাকে দিও জেনে নিও    তুমি আমার, তুমি আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয়।  তুমি আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয়।  ধিন তা না না না না না    ধিন তা না না না না না   তানা না না ধিন ধিন ধিন তা না না না না না    ধিন তা না না না না না   তানা না না ধিন ধিন তুমি আর আমি আর কেউ নাই এমন একটা যদি পৃথিবী হয় মিলনের সুখে ভরে যায় বুক যেখানে আছে শুধু সুখ আর সুখ সেই সুখ আমাকে দিও।  জেনে নিও তুমি আমার, তুমি আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয়।   তুমি আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয়।  ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও চাই না কিছুই তো জীবনে আর তোমার মুখটা যদি দেখি একবার এ জীবন করেছ কত যে মধুর হৃদয়ে কত গান কত যে সুর সেই সুর আমাকে দিও জেনে নিও তুমি আমার, তুমি আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয়।  তুমি আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয়। 

এই পদ্মা, এই মেঘনা (Ei podda, ei meghna) Desattobodhok

এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই যমুনা সুরমা নদী তটে। আমার রাখাল মন, গান গেয়ে যায় এই আমার দেশ, এই আমার প্রেম আনন্দ বেদনায়, মিলন বিরহ সংকটে।। এই মধুমতি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে নিজেকে হারিয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে এক নীল ঢেউ কবিতার প্রচ্ছদ পটে।। এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই হাজারো নদীর অববাহিকায়। এখানে রমণীগুলো নদীর মতন নদী ও রমণীগুলো শুধু কথা কয়।। এই অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে নির্ভয় নীলাকাশ রয়েছে নুয়ে যেন হৃদয়ের ভালোবাসা হৃদয়ে ফুটে।।

একবার যেতে দেনা (Ekbar jete de na) Desattobodhok

একবার যেতে দেনা আমায় ছোট্ট সোনার গাঁয়  যেথায় কোকিল ডাকে কুহু  দোয়েল ডাকে মুহু মুহু  নদী যেথায় ছুটে চলে আপন ঠিকানায়।।  পিদিম জ্বালা সাঁজের বেলা  শান বাঁধানো ঘাটে  গল্পকথার পানসি ভিড়ে  রূপ কাহিনীর বাটে।  মধুর মধুর মায়ের কথায়  প্রাণ জুড়িয়ে যায়।।  ফসল ভরা স্বপ্নঘেরা  পথ হারানো ক্ষেতে  মৌ মৌ মৌ গন্ধে যেথায়  বাতাস থাকে মেতে।  মমতারই শিশিরগুলো  জড়িয়ে থাকে পায়।।

হারিয়ে ফেলা ভালোবাসা- হাবিব (Hariye Fela Bhalobasha by Habib)

আলতো ছোঁয়ায় চোখের চাওয়ায় পাওয়া না পাওয়ার কি যে নেশা সেই স্মৃতিটাই আজও হাতরাই হারিয়ে ফেলা ভালোবাসা ।। বোঝনা, খোঁজোনা, দেখোনা হৃদয়ে কি যে ব্যাথা আকুলতা এ ভাবে, কে ভাবে, কে কবে যে প্রনয়ে বেধে তোমায় পেলো ব্যাথা সেই স্পর্শের গভীরতা যে ভাষা তুমি বোঝ কি বোঝনা এই হতাশা। আলতো ছোঁয়ায় চোখের চাওয়ায় পাওয়া না পাওয়ার কি যে নেশা সেই স্মৃতিটাই আজও হাতরাই হারিয়ে ফেলা ভালোবাসা ।। ভাবোনা, যাবেনা, তবুও তো ভোলা কেটে যাবে জীবন একা ভাবোনা, কভুনা, হবেনা তো বলা বুকে কতো কষ্ট রাখা এই অস্থিরও সময়ে বলো তা তুমি শুনতে বলো পারো কি? নাকি পারোনা। আলতো ছোঁয়ায় চোখের চাওয়ায় পাওয়া না পাওয়ার কি যে নেশা সেই স্মৃতিটাই আজও হাতরাই হারিয়ে ফেলা ভালোবাসা ।।

তুমি যে আমার কবিতা (Tumi Je Amar Kobita) সাবিনা ইয়াসমীন ও মাহমুদুন নবী (Sabina Yasmin & Mahmudun Nabi)

তুমি যে আমার কবিতা আমার বাঁশীর রাগিনী। আমার স্বপন আধ-জাগরণ চিরদিন তোমারে চিনি।। আমি কে তোমার যদি জানতে তবে কি আমায় কাছে টানতে হয়ত সুদূরে যেতে গো সরে না, না নয়নের নীলে তুমি যে ছিলে।। তুমি এলে তাই স্বপ্ন এলো ইন্দ্রধনুর লগ্ন এলো এ মধুর প্রহর হোক না অমর ওগো মোর পল্লবীনি।। যদি এ লগন আঁধারে ঢাকে যদি নেভে দিন পথের বাঁকে তুমি যে আমার বলব আবার চিরদিন তোমারে চিনি।।

পারবনা আমি ছাড়তে তোকে- (Parbo na ami charte toke by Arijit Singh)

ওরে মন বোবা মন বোকা মন জানেনা শোনেনা সে বারন খালি যায় ছুটে যায় দিকে তোর থেকে যায় চিন্তায় অকারণ তাই পারবনা আমি পারবনা পারবনা আমি ছাড়তে তোকে কোনমতে আর হারাতে তোকে সরে যেতে আর আমি পারবনা তোর বায়না সব রেখে দিব সাজিয়ে তুই চাইলে বল হয়ে আছি রাজীরে পালাতে আমি পারবনা ছায়া তোর হয়ে আছি দেখ, পথে তোর চেয়ে আছি দেখ তোকে বল কি করে বোঝায় দুজনেই হয়ে আছি এক পারবনা আমি রাখতে তোকে পারবনা আর ডাকতে তোকে ||

রসিক আমার মন বান্ধিয়া (Roshik amar mon bandhia by Jalal Uddin Kha)

সোনার ময়না ঘরে থুইয়া বাইরে তালা লাগাইছে রসিক আমার মন বান্ধিয়া পিন্জর বানাইছে রসিক আমার মন বান্ধিয়া পিঞ্জর বানাইছে।। দিনও হীন মুর্শিদে কয় মাটির বাসন ভাইঙ্গা গেলে আর কি জোড়া লয় দয়াল চাইলে লইব জোড়া মুর্শিদ চাইলে লইব জোড়া এমন দয়াল কে আছে রসিক আমার মন বান্ধিয়া পিঞ্জর বানাইছে রসিক আমার মন বান্ধিয়া পিঞ্জর বানাইছে।। পাগল জ্বালালে কয় পিঞ্জর ছাইড়া গেলে ময়না আর কি বন্দী হয় মুর্শিদ চাইলে হইব বন্দী দয়াল চাইলে হইব বন্দী এমন দয়াল কে আছে রসিক আমার মন বান্ধিয়া পিঞ্জর বানাইছে রসিক আমার মন বান্ধিয়া পিঞ্জর বানাইছে।।

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো- (Amar vaiyer rokte rangano- Ekusher gaan- The song of Twenty first day of February)

আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।। জাগো নাগিনীরা জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখীরা শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা, দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে তবু তোরা পার পাবি? না, না, না, না খুন রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।। সেদিনও এমনি নীল গগনের বসনে শীতের শেষে রাত জাগা চাঁদ চুমো খেয়েছিল হেসে; পথে পথে ফোটে রজনীগন্ধা অলকনন্দা যেন, এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো।। সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা, তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবীকে রোখে ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই সারা বাংলার বুকে ওরা এদেশের নয়, দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয় ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।। তুমি আজ জাগো তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর ছেলে বীর নারী আমার শহীদ ভায়ের