Posts

Showing posts from October, 2017

সময় গেলে সাধন হবে না (somoy gele sadhon hobe na)

সময় গেলে সাধন হবে না দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না তুমি কেন জানলে না সময় গেলে সাধন হবে না জানো না মন খালে বিলে থাকে না মিল জল শুকালে ।। কি হবে আর বাঁধা দিলে মোহনা শুকনা থাকে, মোহনা শুকনা থাকে, সময় গেলে সাধন হবে না সময় গেলে সাধন হবে না অসময়ে কৃষি কইরে মিছা মিছি খেইটে মরে গাছ যদি হয় বীজের জোরে ফল ধরে না তাতে ফল ধরে না, সময় গেলে সাধন হবে না ।। অমাবস্যায় পূর্নিমা হয় মহা জোগ সে দিনের উদয় ।। লালোন বলে তাহার সময় দনডোমো রয় না, দনডোমো রয় না,দনডোমো রয় না সময় গেলে সাধন হবে না দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না তুমি কেন জানলে না সময় গেলে সাধোন হবে না

যেখানে সাঁইর বারামখানা (Jekhane shair baramkhana)

শুনিলে প্রাণ চমকে উঠে দেখতে যেমন ভুজঙ্গনা ।। যেখানে সাঁইর বারামখানা যা ছুঁইলে প্রাণে মরি এ জগতে তাইতে তরী বুঝেও তা বুঝতে নারী কীর্তিকর্মার কি কারখানা । আত্নতত্ত্ব যে জেনেছে দিব্যজ্ঞানী সেই হয়েছে কুবৃক্ষে সুফল পেয়েছে আমার মনের ঘোর গেল না ।। যে ধনে উৎপত্তি প্রাণধন সে ধনের হল না যতন অকালের ফল পাকায় লালন দেখে শুনে জ্ঞান হল না ।।

পরিচয়- (Porichoy by Baul)

দেহের ভিতর রাখলাম যারে, সে আমার থাকল না রে খাঁচার পাখি কখন কি আর মনের পাখি হয় ? তোমার আমার এই পরিচয় সত্যি কি আর হয়। কথায় কথায় মনের ছায়া, মিথ্যে আশায় দিচ্ছে মায়া অবাক আলোয় বনের পাখি, মনের কথা কয় বনের পাখি খাঁচায় থাকে, এমন কি আর হয় তোমার আমার এই পরিচয় সত্যি কি আর হয়। লালন বলে খাঁচার কি দোষ, দুয়ার থাকলে খোলা মনের দুয়ার বন্ধ হলে, সময় যে সব যাবে চলে লোহার খাঁচার ছোট্ট ঘরে কোন পাখি কি আর রয় ? আট কুঠুরি নয় দরজা, সে তো খোলার নয় …… তোমার আমার এই পরিচয় সত্যি হবার নয়।

শুয়াচান পাখি (shuachan pakhi)

শুয়াচান পাখি আমার শূয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি।। তুমি আমি জনম ভরা ছিলাম মাখামাখি, আজ কেন হইলে নীরব মেলো দুটি আঁখি।। বুলবুলি আর তোতা ময়না কত নামে ডাকি, তোরে কত নামে ডাকি শিকল ভেঙ্গে চলে গেলে কারে লইয়া থাকি।। তোমার আমার এই পিরিতি চর্ন্দ্র সূর্য্য সাক্ষী, হঠাত করে চলে গেলে বুঝলাম না চালাকিরে পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি।।

আমায় ডুবাইলিরে আমায় ভাসাইলিরে - Amay dubailira amai vasailira (PolliGiti)

উথালি পাথালি আমার বুক…আমার, মনেতে নাই সুখরে… আমায় ডুবাইলিরে আমায় ভাসাইলিরে অকুল দরীয়ায় বুঝি কুল নাইরে… আমায় ডুবাইলিরে আমায় ভাসাইলিরে অকুল দরীয়ায় বুঝি কুল নাইরে… আমায় ডুবাইলিরে আমায় ভাসাইলিরে অকুল দরীয়ায় বুঝি কুল নাইরে… কুলনাই সীমা নাই অথই দরীয়ায় পানি দিবসে নীশিথে ডাকে দিয়া হাত ছানিরে অকুল দরীয়ায় বুঝি কুল নাইরে… আমায় ডুবাইলিরে আমায় ভাসাইলিরে অকুল দরীয়ায় বুঝি কুল নাইরে… পানসা জলে সাই ভাসায়ে, সাগরেরও বানে আমি জীবনের ভেলা ভাসাইলাম.. জীবনের ভেলা ভাসাইলাম কেউনাতাজানেরে অকুল দরীয়ায় বুঝি কুল নাইরে… আমায় ডুবাইলিরে আমায় ভাসাইলিরে অকুল দরীয়ায় বুঝি কুল নাইরে… আসমান চাহে দরিয়া পানে, দরিয়া আসমান পানে আসমান চাহে দরিয়া পানে, দরিয়া আসমান পানে আরে লক্ষ বছর পার হইলো লক্ষ বছর পার হইলো কেউনাতাজানেরে অকুল দরীয়ায় বুঝি কুল নাইরে… আমায় ডুবাইলিরে আমায় ভাসাইলিরে অকুল দরীয়ায় বুঝি কুল নাইরে… কুলনাই সীমা নাই অথই দরীয়ায় পানি দিবসে নীশিথে ডাকে দিয়া হাত ছানিরে অকুল দরীয়ায় বুঝি কুল নাইরে… আমায় ডুবাইলিরে আমায় ভাসাইলিরে অকুল দরীয়ায় বুঝি কুল নাইর

সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাড়িয়ে (sei rel line er dhare)

সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাড়িয়ে এক মধ্যবয়সী নারী এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে খোকা ফিরবে,ঘরে ফিরবে কবে ফিরবে,নাকি ফিরবে না । দৃষ্টি থেকে তার বৃষ্টি গেছে কবে শুকিয়ে সে তো অশ্রু মুছেনা আর গোপনে আঁচলে মুখ লুকিয়ে শুধু শূণ্যে চেয়ে থাকে যেন আকাশের সীমা ছাড়িয়ে খোকা ফিরবে,ঘরে ফিরবে কবে ফিরবে,নাকি ফিরবে না । দস্যি ছেলে সেই যুদ্ধে গেল ফিরলো না আর আজো শূণ্য হৃদয়ে তার গুমড়ে গুমড়ে যায় হাহাকার খোকা আসবে,ঘরে আসবে যেন মরণের সীমা ছাড়িয়ে খোকা ফিরবে,ঘরে ফিরবে কবে ফিরবে,নাকি ফিরবে না ।

ধন ধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা (dhono dhanne pushpe vora)

ধন ধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা, তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা, ওসে স্বপ্ন দিয়ে তৈরী সেদেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি। চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা, কোথায় উজান এমন ধারা, কোথায় এমন খেলে তড়িৎ, এমন কালো মেঘে, ও তার পাখির ডাকে ঘুমিয়ে পড়ে পাখির ডাকে জেগে। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি। এতো স্নিগ্ধ নদী তাহার, কোথায় এমন ধূম্র পাহাড়, কোথায় এমন হরিৎ ক্ষেত্র আকাশ তলে মেশে, এমন ধানের উপর ঢেউ খেলে যায়, বাতাস তাহার দেশে। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি। পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখী, কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি, গুঞ্জরিয়া আসে অলি, পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে, তারা ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি, সেযে আমার জন্মভূমি। ভাইয়ের মায়ের এত

তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর (tirhara ei dheoer sagor)

তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর, পাড়ি দিব রে আমরা ক’জন নবীন মাঝি হাল ধরেছি রে।। জীবন কাটি যুদ্ধ করি প্রাণের মায়া সাঙ্গ করি জীবনের সাধ নাহি পাই।। ঘর-বাড়ির ঠিকানা নাই দিন-রাত্রি জানা নাই চলার ঠিকানা সঠিক নাই।। জানি শুধু চলতে হবে এ তরী বাইতে হবে আমি যে সাগর মাঝি রে। জীবনের রঙে মনকে টানে না ফুলের ঐ গন্ধ কেমন জানি না জ্যোৎস্নার দৃশ্য চোখে পড়ে না তারাও তো ভুলে কভু ডাকে না।। বৈশাখেরই রুদ্র ঝড়ে আকাশ যখন ভেঙে পড়ে ছেঁড়া পাল আরও ছেঁড়ে যায়।। হাতছানি দেয় বিদ্যুৎ আমায় হঠাৎ কে যে শঙ্খ শোনায় দেখি ঐ ভোরের পাখি গায়।। তবু তরী বাইতে হবে খেয়া পারে নিতে হবে যতই ঝড় উঠুক সাগরে। তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর পারি দিব রে।।

মাঝি নাও ছাইরা দে (majhi nao charaiya de)

মাঝি নাও ছাইরা দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে গা-রে মাঝি গা কোন গান।। একদিন তোর নাও মাঝি ভাসবে না রে নীল নদীতে রে সেদিন তোর গান মাঝি শুনবে না কেউ গাইবে না বলে- ও মাঝি রে, ও কলের নৌকা কাইরা নিবে সুর।। যন্ত্রের নাও ধোঁয়া ছাইরা আঁধার করল নীল আকাশটারে, ও মাঝি রে- সেদিন তোর নাও মাঝি শূণ্য হয়ে থাকবে রে পরে- ও মাঝি রে- ও চল রে মাঝি যাইরে বহু দূর।।

আমি বাংলায় গান গাই (ami banglay gaan gai)

আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলায় গান গাই, আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর বাংলা আমার জীবনানন্দ বাংলা প্রাণের সুখ আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ | আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলার কথা কই আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় চিত্কার বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান ক্ষিপ্ত তীর ধনুক, আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ | আমি বাংলায় ভালবাসি, আমি বাংলাকে ভালবাসি আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি আমি যা’কিছু মহান বরণ করেছি বিনয় শ্রদ্ধায় মেশে তেরো নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায় বাংলা আমার তৃষ্ণার জল তৃপ্ত শেষ চুমুক আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ |

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি (mora ektu ful ke bachabo bole juddho kori)

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।। যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা যার নদী জল ফুলে ফুলে মোর স্বপ্ন আঁকা। যে দেশের নীল অম্বরে মন মেলছে পাখা সারাটি জনম সে মাটির টানে অস্ত্র ধরি।। মোরা নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি― মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি।। যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্ত দোলে যে শিশুর মায়া হাসিতে আমার বিশ্ব ভোলে যে গৃহ কপোত সুখ স্বর্গের দুয়ার খোলে সেই শান্তির শিবির বাঁচাতে শপথ করি।। মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।।

তাকডুম তাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল (takhdhum takhdhum bajai Bangladesher dhol)

তাকডুম তাকডুম বাজাই আমি তাকডুম তাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল সব ভুলে যাই তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল বাংলা জনম দিলা আমারে ।। তোমার পরান আমার পরান এক নাড়িতে বাঁধা রে মা-পুতের এ বাঁধন ছেড়ার সাধ্য কারো নাই সব ভুলে যাই তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল মা তোমার মাটির সুরে সুরেতে ।। আমার জীবন জুড়াইলা মাগো বাউল ভাটিয়ালিতে পরান খুইলা মেঘনা তিতাস পদ্মারই গান গাই সব ভুলে যাই তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল বাজে ঢোল নরম গরম তালেতে বিসর্জনের ব্যাথা ভোলায় আগমনের সুরেতে বাংলাদেশের ঢোলের বোলে ছন্দ পতন নাই সব ভুলে যাই তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল

যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে (je matir buke ghumiye ache)

যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা দে না তোরা দে না সে মাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দে না ।। রোজ এখানে সূর্য ওঠে আশার আলো নিয়ে হৃদয় আমার ধন্য যে হয় আলোর পরশ পেয়ে ।। সে মাটি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে বলিস না দে না তোরা দে না সে মাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দে না।। রক্তে যাদের জেগেছিল স্বাধীনতার নিশা জীবন দিয়ে রেখে গেছে মুক্ত পথের দিশা সে পথ ছেড়ে ভিন্ন পথে যেতে বলিস না দে না তোরা দে না সে মাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দে না।। যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা দে না তোরা দে না সে মাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দে না ।।

বাংলাদেশ, হতে পারে এই গরিবের দেশ (Bangladesh hote pare ei goriber desh)

নিজের দেশ হতে পারে এই গরিবের দেশ হতে পারে অবহেলিদের দেশ তবু যে আমার বাংলাদেশ সবুজ দেশে লাল টকটকে সূর্য ওঠে দোয়েল কোয়েলের গানের সুরে ভোরে আমার ঘুম ভাঙ্গে বাংলাদেশ মাগো যখন আমি তোমার কোলে মনে পড়ে কানে বলেছিলে এদেশ তোমারি দেশ, ভালবাসার বাংলাদেশ ঘোরের হোক বুকের রক্ত ঢেলে সোনার দেশ শত্রুর প্রলোভনে বিকিয়োনা ধরনি কেশ কত উল্লাস কত আশা শত মানুষের শত ভালবাসা কত উল্লাস কত আশা শত মানুষের শত ভালবাসা কত উল্লাস কত আশা … নিজেরই দেশ এ আমার দুখিনী মায়ের দেশ এ আমার নিপীড়িদের দেশ তবু যে আমার বাংলাদেশ পুকুর পাড়ে পদ্মফুল আমি ফুটতে দেখে বিনা তারে শুনি বাউল সুরে ওই ধন্য আমার জন্ম কেশ বাংলাদেশ মাগো আমি তোমার সোনার ছেলে আগুনে পুড়েছি দুযুগ ধরে এদেশ রক্ত ভেজা অশ্রুভেযা বাংলাদেশ আগলে রেখেছি মাগো শতো লোভে প্রলোভনে আমি শত্রু চিনি মাগো তুমি ঘুমাও নির্ভয়ে।।

সুন্দর সুবর্ণ তারুন্য লাবন্য (sundor suborno tarunno labonno)

সুন্দর সুবর্ণ তারুন্য লাবন্য অপূর্ব রূপসী রূপেতে অনন্য। আমার দু’চোখ ভরা স্বপ্ন ও দেশ তোমারই জন্য।। থাকবে নাতো দুঃখ দারিদ্র বিভেদ-বেদনা-ক্রন্দন।। প্রতিটি ঘরে একই প্রশান্তি একই সুখের স্পন্দন।। তোমার জন্য হবো দুরন্ত তোমার জন্য শান্ত প্রহরী হয়ে দেব পাহারা যেথায় তোমার সীমান্ত।।

পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে (purbo digonte surjo utheche)

পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।। বাঁধন ছেঁড়ার হয়েছে কাল, হয়েছে কাল, হয়েছে কাল।। শোষণের দিন শেষ হয়ে আসে অত্যাচারীরা কাঁপে আজ ত্রাসে ।। রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে নয়া বাংলার নয়া সকাল,নয়া সকাল। আর দেরি নয় উড়াও নিশান রক্তে বাজুক প্রলয় বিষাণ বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান ছিঁড়ে ফেলো সব শত্রু জাল, শত্রু জাল।

বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা (Bicharpoti tomar bichar korbe jara)

বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা, এই জনতা।। তোমার গুলির, তোমার ফাঁসির, তোমার কারাগারের পেষণ শুধবে তারা ও জনতা এই জনতা এই জনতা।। তোমার সভায় আমীর যারা, ফাঁসির কাঠে ঝুলবে তারা।। তোমার রাজা মহারাজা, করজোরে মাগবে বিচার।। ঠিক যেন তা এই জনতা। তারা নতুন প্রাতে প্রাণ পেয়েছে, প্রাণ পেয়েছে। তারা ক্ষুদিরামের রক্তে ভিজে প্রাণ পেয়েছে।। তারা জালিয়ানের রক্তস্নানে প্রাণ পেয়েছে।। তারা ফাঁসির কাঠে জীবন দিয়ে প্রাণ পেয়েছে, প্রাণ পেয়েছে।। গুলির ঘায়ে কলজে ছিঁড়ে প্রাণ পেয়েছে, প্রাণ পেয়েছে এই জনতা। নিঃস্ব যারা সর্বহারা তোমার বিচারে। সেই নিপীড়িত জনগণের পায়ের ধারে।। ক্ষমা তোমায় চাইতে হবে নামিয়ে মাথা হে বিধাতা।। রক্ত দিয়ে শুধতে হবে। নামিয়ে মাথা হে বিধাতা।। ঠিক যেন তা এই জনতা। বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা, এই জনতা।।

সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা (shona shona shona)

সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা সোনা নয় তত খাঁটি বলো যত খাঁটি তার চেয়ে খাঁটি বাংলাদেশের মাটি রে আমার জন্মভূমির মাটি।। ধন জন মন যত ধন দুনিয়াতে হয় কি তুলনা বাংলার কারো সাথে কত মার ধন মানিক রতন কত জ্ঞানী গুণী কত মহাজন এনেছি আলোর সূর্য এখানে আঁধারের পথ পাতি রে আমার বাংলাদেশের মাটি আমার জন্মভূমির মাটি।। এই মাটির তলে ঘুমায়েছে অবিরাম রফিক, শফিক, বরকত কত নাম কত তিতুমীর, কত ঈশা খান দিয়েছে জীবন, দেয় নি তো মান।। রক্তশয্যা পাতিয়া এখানে ঘুমায়েছে পরিপাটি রে আমার বাংলাদেশের মাটি আমার জন্মভূমির মাটি।।

শোনো একটি মুজিবরের থেকে (shono ekti mujiborer theke)

শোনো, একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি। বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।। সেই সবুজের বুক চেরা মেঠো পথে, আবার এসে ফিরে যাবো আমার হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো। শিল্পে কাব্যে কোথায় আছে হায় রে এমন সোনার দেশ। শোনো, একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি। বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।। বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা রূপের যে তার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ।. ‘জয় বাংলা’ বলতে মনরে আমার এখনো কেন ভাবো, আমার হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো, অন্ধকারে পুবাকাশে উঠবে আবার দিনমণি।। শোনো, একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি। বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।।

জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো (jonmo amar dhonno holo mago)

জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো এমন করে আকুল হয়ে আমায় তুমি ডাকো।। তোমার কথায় হাসতে পারি তোমার কথায় কাঁদতে পারি মরতে পারি তোমার বুকে বুকে যদি রাখো মাগো।। তোমার কথায় কথা বলি পাখির গানের মতো তোমার দেখায় বিশ্ব দেখি বর্ণ কত শত। তুমি আমার—খেলার পুতুল আমার পাশে থাক মাগো।। তোমার প্রেমে তোমার গন্ধে পরান ভরে রাখি এইতো আমার জীবন-মরণ এমনি যেন থাকি। বুকে তোমার—ঘুমিয়ে গেলে জাগিয়ে দিও নাকো মাগো।।

ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে (voy ki morone rakhite sontane)

ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে তা থৈ তা থৈ থৈ দিমি দিমি দ্রম দ্রম ।। ভূত পিশাচ নাচে যোগিনী সঙ্গে ।। ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।। দানব দলনী হয়ে উন্মাদিনী আর কি দানব থাকিবে বঙ্গে ।। সাজ রে সন্তান হিন্দু-মুসলমান থাকে থাকিবে প্রাণ, না হয় যাইবে প্রাণ ।। ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে লইয়ে বিপদ হওরে আগোয়ান নিতে হয় মুকুন্দেরে নিও রে সঙ্গে।। ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে

আমায় যদি প্রশ্ন করে (Amay jodi proshno kore)

আমায় যদি প্রশ্ন করে আলো-নদীর এক দেশ বলবো আমি বাংলাদেশ। আমায় যদি প্রশ্ন করে কল-কাকলীর দেশ বলবো আমি বাংলাদেশ।। এক সূর্যের হাজার আলোর কণা ছড়িয়ে এই মাটি করলো অরূপ সোনা। আমায় যদি প্রশ্ন করে মায়াবতী কোন দেশ বলবো আমি বাংলাদেশ।। নব দিগন্তের নতুন চলার তিথি মিলেছে এ জীবন সম্ভবনার গীতি। আমায় যদি প্রশ্ন করে কাব্য-গীতির কোন দেশ বলবো আমি বাংলাদেশ।। আমায় যদি প্রশ্ন করে কল-কাকলীর দেশ বলবো আমি বাংলাদেশ।।

গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা (Gonga amar ma podma amar ma)

গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা ও ও তার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা।। একই আকাশ একই বাতাস এক হৃদয়ের একই তো শ্বাস। দোয়েল কোয়েল পাখির ঠোটে একই মুর্ছনা। ও ও তার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা।। এপার ওপার কোন পাড়ে জানি না ও আমি সব খানেতে আছি গাঙ্গের জলে ভাসিয়ে ডিংগা ও আমি পদ্মাতে হই মাঝি শংখ চিলের ভাসিয়ে ডানা ও আমি দুই নদীতে নাচি একই আশা ভালবাসা কান্না হাসির একই ভাষা। দুঃখ সুখের বুকের মাঝে একই যন্ত্রনা ও ও তার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা।।

Amar ache jol- (আমার আছে জল)

আমার আছে জল , আমার আছে জল আমার আছে জল , আমার আছে জল সেই জলে যেনো পদ্ম পুকুর মেঘলা আকাশে মধ্য দুপুর(২) অচেনা এক বন বাঁশি সুর বিষাদে কোমল আমার আছে জল , আমার আছে জল আমার আছে জল , আমার আছে জল(২) আমার একা সেই কালো দিঘি একাই আমি জলে নামি আর কেউ নেই তো কাছে ও দূরে অন্য ভুবনে থাকো তুমি আমার একার সেই দীঘিতে ফোটাই নীলকমল আমার আছে জল , আমার আছে জল আমার আছে জল , আমার আছে জল ঝুম বরষা ঘন কালো মেঘে উল্লাসে নাচি একা আমি কেউ নেই পাশে মেঘে বৃষ্টিতে ভিন গ্রহবাসি আজ তুমি আমার একার জলত সবই শুধু অস্রুজল আমার আছে জল , আমার আছে জল আমার আছে জল , আমার আছে জল(২)

তোমার খোলা হাওয়া (Tomar khola hawa)

তোমার খোলা হাওয়া… লাগিয়ে পালে টুকরো করে কাছি , আমি ডুবতে রাজি আছি আমি ডুবতে রাজি আছি । তোমার খোলা হাওয়… লাগিয়ে পালে তোমার খোলা হাওয়া । সকাল আমার গেল মিছে, বিকেল যে যায় তারি পিছে গো… ।। রেখ না আর বেধোনা আর, কুলের কাছাকাছি আমি ডুবতে রাজি আছি, আমি ডুবতে রাজি আছি। তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে তোমার খোলা হাওয়া মাঝির লাগি আছি জাগি সকল রাত্রি বেলা ঢেউ গুলো আমায় নিয়ে করে কেবল খেলা । মাঝির লাগি আছি জাগি সকল রাত্রি বেলা ঢেউ গুলো আমায় নিয়ে করে কেবল খেলা । ঝড়কে আমি করবো মিতে, ডোরব না তার ভ্রুকুটিতে দাও ছেড়ে দাও ওগো আমি তুফান পেলে বাচি। আমি ডুবতে রাজি আছি , আমি ডুবতে রাজি আছি। তোমার খোলা হাওয়া… লাগিয়ে পালে। তোমার খোলা হাওয়া। টুকরো করে কাছি , আমি ডুবতে রাজি আছি আমি ডুবতে রাজি আছি । তোমার খোলা হাওয়া… লাগিয়ে পালে। তোমার খোলা হাওয়া ।

নোঙ্গর তোল তোল (Nongor Tolo Tolo)

নোঙ্গর তোল তোল সময় যে হল হল নোঙ্গর তোল তোল।। (হেইয়া রে, হেইয়া হো, ও মাঝি ভাই, মাঝি ভাই) হাওয়ার বুকে নৌকা এবার জোয়ারে ভাসিয়ে দাও, শক্ত মুঠির বাঁধনে বাঁধনে বজ্র বাঁধিয়া নাও, সমুখে এবার দৃষ্টি তোমার পেছনের কথা ভোল।। দূর দিগন্তে সূর্য রথে দৃষ্টি রেখেছ স্থির, সবুজ আশার স্বপ্নেরা আজ, নয়নে করেছে ভিড়, হৃদয়ে তোমার মুক্তির আলো, আলোর দুয়ার খোল।। 

দিন বাড়ি যায় - বাপ্পা মজুমদার (Din bari jay by Bappa Mojumdar)

দিন বাড়ি যায়, চড়ে পাখির ডানায় যদি না হয় কথা, জমে নিরবতা ! তুমি চোখে রাখো চোখ, চোখে চোখে কথা হোক যেতে পথে আজ এইটুক বলি যত দুরে যাই, জানিনাতো কবে জেনে রেখো সুধু, ফের দেখা হবে !! নদীরা বাধন হারা আকাবাকা ছুটে যায় সব নদী যেন তবু মিলবে মোহনায় আমার ও নোঙ্গর বাধা তোমার এ সে সীমানায় মেঘেরা ছন্ন ছাড়া নীলিমায় ভেসে যায় জল হয়ে তবু যেন ঝরবে বর্ষায় এই নিয়তি বাধা তোমারি সেই আঙ্গিনায়

সূর্যদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি (Surjodoye tumi surjasteo tumi)

সূর্যদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ, প্রিয় জন্মভূমি।। জলসিঁড়ি নদীর তীরে, তোর খুশির কাঁকন যেন বাজে ও—কাশবনে ফুলে ফুলে, তোর মধুর বাসর যেন সাজে তোর একতারা হায়, করে বাউল আমায় সুরে সুরে।। আঁকাবাঁকা মেঠো পথে তোর রাখাল হৃদয় যেন হাসে ও—পদ্ম পাতা, দীঘির ঝিলে তোর সোনার স্বপন যেন ভাসে তোর এই আঙিনায় ধরে রাখিস আমায় চিরতরে।।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে (Ek sagor rokter binimoye)

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলব না। দুঃসহ এ বেদনার কণ্টক পথ বেয়ে শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা আমরা তোমাদের ভুলব না। যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে মুক্তির এ বারতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলব না। কৃষাণ-কৃষাণীর গানে গানে পদ্মা-মেঘনার কলতানে বাউলের একতারাতে আনন্দ ঝংকারে তোমাদের নাম ঝংকৃত হবে। নতুন স্বদেশ গড়ার পথে তোমরা চিরদিন দিশারী রবে। আমরা তোমাদের ভুলব না।।

একতারা তুই দেশের কথা (Ektara tui desher kotha)

একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল আমাকে তুই বাউল করে, সঙ্গে নিয়ে চল জীবন মরণ মাঝে, তোর সুর যেন বাজে।। একটি কথা আমি শুধু বলে যেতে চাই বাংলা আমার সুখে-দুখে হয় যেন গো ঠাই রে।। একটি গান আমি শুধু গেয়ে যেতে চাই, বাংলা আমার, আমি যে তার আর তো চাওয়া নাই রে।। প্রাণের প্রিয় তুমি, মোর সাধের জন্মভূমি তোমায় বরণ করে যেন যেতে পারি মরে।।

আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি (Ami brishtir kach theke kadte shikhechi by Subir Nandi)

আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি আমায় আর কান্নার ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই আমি অগ্নিগিরির কাছে জ্বলতে শিখেছি আমায় আর জ্বালানোর ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই আমি চাই না হতে কারো প্রেমের আঁচল আমি চাই না হতে কারো চোখের কাজল আমি তটিনীর কাছ থেকে চলতে শিখেছি আমায় আর পিছু ডাকার ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই আমি চাই না হতে কারো মনের অনল আমি চাই না হতে কারো নয়নের জল আমি সাগরের কাছ থেকে জানতে শিখেছি আমায় আর সুখের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই

পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে (Pagla hawar badol dine)

পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে পাগল আমার মন জেগে ওঠে॥ চেনাশোনার কোন বাইরে যেখানে পথ নাই নাই রে সেখানে অকারণে যায় ছুটে॥ ঘরের মুখে আর কি রে কোনো দিন সে যাবে ফিরে। যাবে না, যাবে না– দেয়াল যত সব গেল টুটে॥ বৃষ্টি-নেশা-ভরা সন্ধ্যাবেলা কোন বলরামের আমি চেলা, আমার স্বপ্ন ঘিরে নাচে মাতাল জুটে– যত মাতাল জুটে। যা না চাইবার তাই আজি চাই গো, যা না পাইবার তাই কোথা পাই গো। পাব না, পাব না, মরি অসম্ভবের পায়ে মাথা কুটে॥

Hridoye Amar Bangladesh (হৃদয়ে আমার বাংলাদেশ) by Habib Wahid, Arfin Rumey & Pradeep

হৃদয়ে আমার বাংলাদেশ স্বপ্ন আমার বাংলাদেশ শান্তি আমার বাংলাদেশ ও মা তুই...... আমার বাংলাদেশ !!! স্বাধীনতার যুদ্ধে আছি দোয়া করিস মা গো তোর মুখে হাসি ফোটাবো জাগো বাঙ্গালি জাগো মা তোর খোকন যেন ভয় না পায় মরণের আগে এ স্বাধীন করবো এ দেশ বুকের যত রক্ত লাগে... স্বাধীনতার যুদ্ধে আছি দোয়া করিস মা গো তোর জন্য শহীদ হবো জাগো বাঙ্গালি জাগো...... মা তোর খোকন যদি বাড়ি না ফেরে স্বাধীনতার পরে সবুজ লালের পতাকা রাখিস বড় যত্ন করে স্বাধীনতার যুদ্ধে আছি দোয়া করিস মা গো মায়ের দেশ মাকে দেব জাগো বাঙ্গালি জাগো !!!!